ছাত্রকে বলাৎকার: মুহতামিমকে খুঁজছে পুলিশ Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ছাত্রকে বলাৎকার: মুহতামিমকে খুঁজছে পুলিশ

ছাত্রকে বলাৎকার: মুহতামিমকে খুঁজছে পুলিশ

ছাত্রকে বলাৎকার: মুহতামিমকে খুঁজছে পুলিশ




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের একটি মাদরাসায় মুহতামিম কর্তৃক ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নির্যাতিত মাদরাসাছাত্রের পিতা মোতাব্বির মিয়া বাদী হয়ে মাদরাসায়ে আনোয়ারে মদিনা ফদ্রখলা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নোমান কবীরকে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

 

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফুয়াদ বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই নোমান কবীরের মাদরাসায় অভিযান চালিয়েছি।

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে মাদরাসার মুহতামিম নোমান কবীর এক ছাত্রকে খেদমতের জন্য তার খাসকামরায় ডাকেন। খেদমতের নামে তিনি ওই ছাত্রকে বলাৎকার করেন। পরের দিন বুধবার সকালে ফদ্রখলা গ্রামের মুরুব্বী শওকত, ছোবান, মর্তুজ আলী নির্যাতিত ছাত্রের বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার রামশ্রী গ্রামে উপস্থিত হয়ে বিষয়টির আপসরফার চেষ্টা করেন। সেখানে ওই পরিবারের কাছে শুক্রবারের মধ্যে মাদরাসা থেকে ওই মুহতামিমকে বহিষ্কার করা হবে ও উপযুক্ত বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তারা আশ্বস্ত করেন। ওই বিষয়টি যাতে র‌্যাব-পুলিশকে কেউ না জানায় সে বিষয়েও হুঁশিয়ারি দেন গ্রাম্য মাতব্বরা।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার সাবেক এক শিক্ষক জানান, তার রুমে সব সময় ছেলেদের আড্ডা থাকে। মাদরাসার সাবেক ছাত্ররাও তার খেদমত করতে মাদরাসায় আসে। আমরা ছাত্রদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক না রাখতে নিষেধ করার কারণেই আমাদের বেতন বন্ধ করে দেন মুহতামিম ও তার চাচাতো ভাই মাদরাসার শিক্ষক আবু সাঈদ মিজবাহ।

 

 

মুহতামিমের এমন আচরণে কোনো শিক্ষক ওই মাদরাসায় থাকতে চায় না। এ বিষয়ে কথা বললেই শিক্ষকদের ওপর চাড়াও হন তিনি। নিজের বাড়িতে মাদরাসা হওয়ায় তিনি গ্রামের মুরুব্বিদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে বীরদর্পে তার অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামের মাতব্বর শওকত, ছুবান, রেজাক, মর্তুজ আলী ও কোনাপাড়ার মাইল্লার ছেলে সাইফুল, রুবেল, আব্দুল আউয়াল মুহতামিমের অবৈধ কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে।

 

 

সাবেক শিক্ষক মাওলানা আফসার উদ্দিন বলেন, মাদরাসার পরিচালকের এমন আচরণেই আমিসহ চারজন চলে এসেছি। ইউনিয়ন অফিসে আমাদের চারজন শিক্ষকের মামলা রয়েছে, আমাদের ৭৪ হাজার টাকা বেতন পাওনা রয়ে গেছে। বাকি শিক্ষকদের মামলা চলছে। রায় পেলেই আমরা আদালতে যাব।

 

 

মাদরাসা ও মসজিদের সেক্রেটারি আকবর মিয়া বলেন, নোমানের আচরণ এত খারাপ যে এলাকায় মুখ দেখানোর মতো নয়। সে ছেলে ছাড়া কিছুই বুঝে না। আমরা বহু নিষেধ করেছি, গ্রামের কয়েকটি লোকের কারণে সে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

 

 

নির্যাতিত ছাত্রের পিতা মোতাব মিয়া বলেন, মাদরাসার বদনাম করতে চাইনি। আর কারো সন্তান যেন নির্যাতনের শিকার না হয় সে জন্য নোমানকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কারের কথা বলেছিলাম, তাকে বহিষ্কার না করায় বাধ্য হয়ে মামলা করেছি।

 

 

বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের জোর প্রচেষ্টা চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD